
ঠুনকো সমাজের আড়ম্বর
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
ক্ষতের সৌন্দর্য নিয়ে চণ্ডালী আমি ভুমিচারণ করি
—————– বেতসতলায়!
রাতারাতি নিশিমুখ পাইনি কেবলই উন্মুখ হয়েছি—-নিশিদর্পণে!
পেয়েছিলাম—–ঝুলকালি মাখা খানাবাড়ি!
সে বাড়িটি এখন হিমঘর—!
সেখানে এখন জং-ধরা লোহার বসবাস!
একদা—মাটির ঢিবিতে কার্তিকের শেষ নিদানে
হৃদয়ে কুরুক্ষেত্র লেগেছিলো—
——–অসময়ের নাজাত ফায়সালায়।
পয়গম্বর থেকে পাওয়া ঘর তাহলে এমনই হয়!
ক্রমশ সময়ের কুতকুতে দীর্ঘায়িত ছায়া
চিলেকোঠার তর্জনী ডিঙিয়ে
মাটির পিঞ্জিরাতে বসবাস—
যার চৌহদ্দি মাড়িয়ে মেঠোপথের দীঘল
আয়নায় নিজেকে দেখা—সে ছিলো নাজাত পীরে কামেল—!
অন্দরে প্রান্তজনের কথা
অম্বরে রূপালি ঘোড়া—!
বহু দ্রুপদের পুরোহিত বিমর্ষের স্তাবক!
ক্রোধের ঘৃণা হয়তো নেই—
তবে বেলাবেলির অহম নিয়েই বেঁধে থাকি
তার জপের উপর কারণ হারজিতের পালাবদলে জীবন খুঁইয়ে দিতে
পারি কিন্তু ঠুনকো ভাঙাগড়ার সমাজকে নয়!