২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

জৈন্তাপুরে সাংবাদিককে শ্রমিক নেতার হাতকাটার হুমকি থানায় সাধারণ ডায়েরী

বাংলার বারুদ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ণ
জৈন্তাপুরে সাংবাদিককে শ্রমিক নেতার হাতকাটার হুমকি থানায় সাধারণ ডায়েরী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: অধৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, বালু শ্রমিকদের থেকে চাঁদা আদায়ের দৃশ্যধারণের সংবাদ প্রচার করায় জৈন্তাপুরের একজন সাংবাদিককে হাত কেঁটে নেয়ার হুমকি দিলেন সারীঘাট বারকি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আমির আলি।

 

শনিবার (২৮শে ডিসেম্বর) রাত ৯:৩০ ঘটিকায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক একাত্তরের কথা’র জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি নাজমুল ইসলামকে তিনি এই হুমকি দেন।

 

এ ঘটনায় সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ডায়েরী নং -১১৫৬।

 

এ বিষয়ে সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম ও শ্রমিকনেতা আমিরআলির কথপোকথনে চার মিনিট ছয় সেকেন্ডের একটা ফোনালাপের অডিও সংরক্ষণ করা হয়েছে।

 

অডিওতে শ্রমিকনেতা আমির আলি নাজমুলকে বলেন, তুমি কয়েক হাজার শ্রমিকের পেটে লাথি মারতেছো। প্রতিউত্তরে নাজমুল জিজ্ঞেস করেন, এমন কোন প্রমান কি আপনার নিকট আছে যে আমি শ্রমিকদের পেটে লাথি মারছি।

 

এর প্রতিত্তোরে আমির আলি বলেন, তুমি বালু উত্তোলনের খবর ইউএনও অফিসে দেও তার সব খবর আমি পাই। ঠিক পরপরই আমির আলি উত্তেজিত হয়ে বলেন বেশী বাড়াবাড়ি করবায় না। বেশী বাড়াবাড়ি করলে তুমার হাত কাটি ফালাই দিমু। এরপর সাংবাদিক নাজমুলের পিতামাতার কথা বলে জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

 

এ বিষয়ে শ্রমিকনেতা আমির আলিকে ফোন দিলে তিনি বলেন, নাজমুল তাকে প্রথমে গালি দিছে এজন্য তিনি হাত কাটার হুমকি প্রদান করেন। এর প্রতিত্তোরে যখন ফোনালাপের কথা বলা হয় তখন তিনি আর কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। শুধু বলেন সারিঘাট বালু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সাথে একটু কথা বলেন। পরে বালু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমেদ জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা এটা মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক নাজমুলকে হাত কাটার হুমকি সহ পুরো ফোনালাপেট অডিওটি শুনেছি। ইতিমধ্যে নাজমুল সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান শ্রমিকের সভাপতি আমির আলিকে ফোন দিলে তিনি প্রথমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কথা বলেন। পরে অডিওর বিষয়ে বললে ফোন কেটে বন্ধ করে দেন। তিনি জানান উক্ত ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

 

এ দিকে সাংবাদিক নাজমুল ইসলামকে হুমকি প্রদানের ঘটনায় জৈন্তাপুর উপজেলার সাংবাদিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অনতিবিলম্বে হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ও এর পিছনে ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করতে পুলিশের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।