ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর আংশিক) আসনে নমিনেশনের সিদ্ধান্ত যে সহজ-সরল গণতন্ত্রের মূলনীতিকে ভূলণ্ঠিত করেছে, তা আজ স্পষ্ট। সংখ্যার ভাষায় দেখা যাক – সার্জিস আলম ১৫-১৭টি, হাসনাত ১৬-১৮টি, আখতার হোসেন ১২-১৪টি প্রোগ্রাম করে মানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।
আর ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ডালিম ইতিমধ্যে উঠান বৈঠক ও পথসভা মিলিয়ে ২৪টি সরাসরি জনসংযোগের মাধ্যমে নিপিড়ীত মানুষের সাথে যোগাযোগ ও প্রোগ্রাম করেছেন। তিনি মানুষের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশা শুনেছেন, আশা জাগিয়েছেন।
কিন্তু আশরাফ মেহেদী? মাঠের সংস্পর্শ, জনসমর্থন, সাংগঠনিক অঙ্গীকার – কোন দিক দিয়েই তিনি ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম ডালিমের ধারে কাছেও নেই। তাহলে প্রশ্ন জাগে? এই নমিনেশন কার ভোটে, নাকি ঘরের ভিতরকার দেনদরবারের রাজনীতিতে?
১,৪০০ শহীদের রক্তে কেনা এই কোটা ব্যবস্থা আজ নীতিহীন দলীয় কর্তাদের হাতে বন্দী। যোগ্যতা, মাঠপর্যায়ের কাজ, জনসংযোগ – কিছুই বিবেচনায় নেই। কেবল অদৃশ্য কুক্ষিগত স্বার্থ এখানে মুখ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর মানুষ শুধু একটি আসন নয়, তাদের অধিকার, তাদের প্রতিনিধিত্ব চায়। কিন্তু এই নমিনেশন দেখে মনে হচ্ছে, লবিস্ট আর দলীয় উচ্চাভিলাষের কাছে গণতন্ত্রের মৌলিক চেতনা বলি হচ্ছে।
এটাই কি ১,৪০০ প্রাণের মূল্য? এটাই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? কোটার নামে অযোগ্যতার পৃষ্ঠপোষকতা আমাদের রাজনীতিকে কলুষিত করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে চাপিয়ে দেওয়া এই সিদ্ধান্ত আসলে বলে দেয় – দলীয় চেয়ারম্যানের ইচ্ছেই এখানে চূড়ান্ত বিধান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর আংশিকে-র জনগণ বলেন এবার তোমরা মানুষ জাগো! তোমাদের ভোট, তোমাদের ভবিষ্যৎ ঘরের অন্ধকার কক্ষে নয় – খোলা মাঠের সভায় নির্ধারিত হোক। এই নমিনেশন গণতন্ত্রের প্রতি ষড়যন্ত্র, এবং আমাদের সবার আত্মমর্যাদার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। বলে মানে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর আংশিক) এর জনগণ।