সিলেটে ফয়সল গ্রুপের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৪

সিলেটে ফয়সল গ্রুপের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা

সিলেটে ফয়সল গ্রুপের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা

 

বিশেষ প্রতিনিধি:: সিলেট মহানগরীর উপশহর রোড সোনাপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়ন কালাকোনা গ্রামের বাসিন্দা মনাই মিয়া উরফে মনাই মাঝির ত্যাজ্য পুত্র পুলিশের সোর্স ফয়সলের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জামায়াত বিএনপি’র শতাধিক নিরীহ মানুষ।

 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও গোলাপগঞ্জ—বিয়ানীবাজার আসনের এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের ভাগনা পরিচয়দানকারী ভুয়া সাংবাদিক র‌্যাব ও পুলিশের সোর্স ফয়সলের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সিলেট নগরীসহ গোলাপগঞ্জ এলাকার জামায়াত—বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ নিরীহ মানুষ।

 

জানা যায়, ফয়সল আহমদের নিজস্ব কোন পেশা না থাকলেও সিলেট নগরীর সোনারপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে আয়েশি জীবন যান করে আসছেন। র‌্যাব ও পুলিশের সোর্স হিসাবে বিগত সরকারের আমলে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে ধরিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। সমাজের বহু মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে পথে বসিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি, শাহপরান, গোলাপগঞ্জ,কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ থানা এবং আদালতে একাধিক অভিযোগ, জিডি ও মামলা থাকলেও পুলিশ তাকে না ধরে উল্টো সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করিয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে লেবাস পাল্টাতেও শুরু করেছে বহুরূপী সোর্স ফয়সল ও তার বাহিনী।

 

ইতিমধ্যে অনেক মানুষকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে যে, তার কথা না শুনলে পুলিশ ও শিবির নেতাদের দিয়ে শায়েস্তা করা হবে এবং পুলিশকে দিয়ে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হবে। শাহপরান থানার এসআই ও শাহজালাল উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান এর সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। তাকে দিয়েই উপশহর এলাকার অনেক মানুষকে হয়রানি করিয়েছে। তার অন্যায় কাজের বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করলে ফেইসবুকে মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করে ঐ লোকের সম্মান হানি ঘটানোর বহুল প্রমাণাদি রয়েছে। তার রয়েছে একাধিক ভুয়া ফেইসবুক আইডি। যার মধ্যে খোলা জানালা অন্যতম। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের নাম্বার ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। গোপালগঞ্জের কাউসার নামের এক যুবক বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। জাতীয় দৈনিক তরুণ কন্ঠের সিলেট প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন নামে এক সংবাদকর্মী ফয়সল ও হিফজুর বাহিনীর ভয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

 

সিলেট নগরীর সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাভিশন টিভি’র জেলা প্রতিনিধি দিপু সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মালেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়েছে।মোহনা টিভি’র সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিক শিপার চৌধুরী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা’ পত্রিকার সম্পাদক ও গ্লোবাল টিভি’র সিলেট ব্যুরো প্রধান মাহতাব উদ্দিন তালুকদারকে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকিসহ ফেইসবুকে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে মান হানি ঘটিয়েছে এবং একাধিক মিথ্যা মামলায় আসামি করে হয়রানি করে আসছে। গোলাপগঞ্জের বয়োজৈষ্ঠ্য সাংবাদিক হেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে জেল কাটিয়েছেন, দৈনিক শবুজ সিলেট পত্রিকার সম্পাদক কে মামলার আসামি করে জেল কাটিয়েছে।

 

৪ আগষ্টের ৫/৬ মাস আগে অনেকেই দেশের বাহিরে চলে গিয়েছে পরিবারের সুখের আশায় পাড়ি জমিয়েছে প্রবাসে কিন্ত রেহাই পায়নি ৪ আগষ্টের মিথ্যা মামলা থেকে সংবাদকর্মী জাকির হোসেন সুমনের সাথে মোবাইল ফোন +971565722072 নাম্বারে যোগাযোগ করে যানা যায় ভুক্তভোগী জাকির প্রবাসে গিয়েছে গত রমজানের আগে ভুক্তভোগী জাকির হোসেন সুমন জানান তার সাথে সিলেটে অমানবক আচরণ ও নির্যাতন করেছে হিফজুর খান ও ফয়ছল,ইউরোপে নেওয়ার কথা বলে জাকির হোসেন সুমনের বায়নাপত্র না করে হাতিয়ে নিয়েছে ৪ লক্ষ টাকা,এই চক্ষ প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে করে আসছে প্রতারণা টাকা চাইতে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

 

বহু মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ও সাজানো মামলা দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে টাকা। কোন পত্রিকার সাংবাদিক না হলেও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। সিলেট জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে জমির কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার নামে তার নিজ এলাকার বহু মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। মানুষের পাওনা টাকার ভয়ে এলাকায় যেতে পারছে না। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে তার বৃদ্ধ পিতা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে বলেও এলাকায় জনরব রয়েছে।

 

ফয়সল ও তার বাহিনীর সদস্যরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বহু মানুষের ফেইসবুক আইডি হ্যাকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা লুট করারও অভিযোগ রয়েছে। তার গ্রুপে যাদের নাম শুনা যায় তারা হলেন মেরজটিলার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর গ্রুপের সদস্য পরিচয় দানকারী  ভেদাভেদ মামুন চৌধুরী, গোলাপগঞ্জের রুমন, লাউয়াইয়ের নুরুদ্দিন রাসেল,গোয়াইনঘাট সদরের বাইপাসের মোঃ রুহুল আমিন,জাফলংয়ের হুমায়ুন ।সোনারপাড়া নিবাসী হিফজুর খানের সেল্টারে নানান অনিয়ম,অপকর্ম ও দুর্নীতি করে আসছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।

 

সোনারপাড়া খান কমপ্লেক্সে ৪তলা এসব রফাদফা করে হিফজুর খান নিজে এসবের সেল্টারে দিয়ে থাকে তার বাহিনীর সদস্যদের।

 

বিগত সরকারের আমলে বিএনপি ও জামাতের লোকজনসহ সাধারণ মানুষ কে পুলিশ দিয়ে ধরানো, রিমান্ডে নেয়া আবার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনাই ছিল তার মূল কাজ। যারা টাকা দেয়নি তাদের কপালে জুটেছে সাজানো মাদক, মার্ডার, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলার আসামি কিন্তু এরা কখনোই সাংবাদিক নয়।

 

এরা আওয়াম লীগের দালালি করেছে আর পুলিশের সোর্স গিরী করে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দিয়েছে এবং নিরীহ মানুষ কে ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা।

 

সরকার পরিবর্তনের কিছু দিন পূর্বে সোনারপাড়ার এক যুবদল নেতাকে র‌্যাবের মাধ্যমে ধরিয়েছে এই সোর্স চক্রটি। সেই যুবদল নেতাকে র‌্যাব দিয়ে ধরাতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাও ইন্ধন দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

অথচ সেই যুবদল নেতার ছত্রছায়ায় নানান বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিল মুনাফেক ও র‌্যাব পুলিশের সোর্স ফয়সল ও তার বাহিনী। যারা টাকা দিতে রাজি হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে মান হানিকর লেখালেখি করে বহু মানুষের মান হানি ঘটিয়েছে।

 

গোয়াইনঘাট বাইপাসের রুহুল আমিন ৪ আগষ্টের সকল আসামীদের বাড়ি গিয়ে গিয়ে নাম ঠিকানা সংরক্ষন করে হিফজুর খান কে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৪ আগষ্টের পর থেকে একাধিক বার খান কমপ্লেক্সে ৪ তলা পাওয়া গিয়েছে হিফজুর খানের সাথে।

 

হিফজুর খান এসব প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য হয়েছে সিলেট জেলা ইস্কাউটের সাধারণ সম্পাদক।

 

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই ধরনের সোর্সদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সাধারণ মানুষকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষার দাবি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ