
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের শারফিন নগর গ্রামের মৃত রহিম উল্লাহর ছেলে আব্দুস সামাদ। তিনি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তার আপন ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের নাম ব্যবহার করে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান নামে পরিচয় দিতেন।
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সহ মুক্তিযুদ্ধের নানা কাগজ পত্রে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান লিখে অবৈধ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করতেন।
দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ নানা সুযোগ সুবিধা নিলেও বিষয়টি সবার অগোচরে ছিল। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান নাম ধারন কারি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মারা গেলে আব্দুর রহমানের পরিবারের লোকজনের মধ্যে মূল বিষয়টি ধরা পড়ে।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মারা গেলে তার ছেলে তাজুদ আলী মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করতে গেলে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।এসময় তাজুদ আলী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের ছেলে জহুর আলীর স্নরনাপন্ন হন।
তিনি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে জহুর আলীকে বড় অংকের টাকা দিবে বলে অঙ্গীকার করে।বিনিময়ে জহুর আলী নানা অফিসে উপস্থিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান তার পিতা নয় বলে মিথ্যা সাক্ষী দিবে। এতে জহুর আলী রাজি না হওয়ায় তৎকালিন ইউ পি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল আবেদীন আবুল সহ তাজুদ আলীর পক্ষের লোকজন জহুর আলীর উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
জহুর আলীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ও কাগজ পত্রের জটিলতায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন বন্ধ হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের আগে আওয়ামিলীগের প্রভাবশালি নেতাদের ম্যানেজ করে আবারও ভাতা উত্তোলন করতে শুরু করে তাজুদ আলী। ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ভাতা না পেয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ভাতা পাওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের ছেলে জহুর আলী দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নানা দপ্তরে ধর্নাদিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সিলেট সজেকা কার্যালয়ে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত তাজুদ আলীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার সেল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা জানান বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে সঠিক তদন্ত করলে মূল সমস্যা বের হয়ে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান দু,পক্ষের কাগজ পত্র দেখে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা দের সাক্ষ্য নিলে বিষয়টি সমাধান হতে পারে।