২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা কঠিন কাজ’

বাংলার বারুদ
প্রকাশিত মে ১১, ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা কঠিন কাজ’

জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন

 

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক : লিটন দাস নেতৃত্ব পাওয়ার পরই একই সফরে সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। পাকিস্তান সফর ঝুলে থাকায় আপাতত সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের সামনে। জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মনে করছেন, বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা খুবই কঠিন কাজ। জানালেন, সবার সমর্থন দরকার হয়।

রোববার (১১ মে) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শেষে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মানে পুরো দেশের অধিনায়ক। অনেকে হয়তো অনেককে অপছন্দ করেন, অনেক অধিনায়ককে দেখলে হয়তো মাথা গরম হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করাটা বাইরে থেকে মনে হতে পারে অনেক সহজ বাস্তবে এটা অনেক কঠিন কাজ। আমাদের সবারই সমর্থন করতে হবে। আমরা যারা পাশে আছি, তাকে সমর্থন দিতে হবে, সেই স্বাধীনতা দিতে হবে। তাহলে সে ভালো করবে।’

ক্রিকেটারদের অনুশীলন হয় রুদ্ধদ্বার। সেখানে মিডিয়ার সময় থাকে মাত্র ১৫ মিনিট। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের অভাবেই চ্যালেঞ্জ তৈরি হয় বলে জানালেন, সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই পারফর্ম করি না, এটা বড় সমস্যা। যদি অনেক পারফরমার থাকত তাহলে অধিনায়কত্ব করা সহজ হয়ে যেত। আমাদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নেই, এটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ‘ছেলেদের স্কিলের উন্নতি নিয়ে কাজ করার খুব বেশি সময় পাই না। টানা সিরিজ থাকে। এবার একটু সময় পেয়েছি স্কিল উন্নতি করার। কিছু ট্রেনিং সেশন রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের ফিটনেস লেভেলটা ধরে রাখার দিকে জোর দিয়েছি। একই সঙ্গে স্কিল উন্নত করার কাজও করছি।’

সালাউদ্দিন আগে অনেকবার বলেছেন ক্রিকেটারদের সমস্যা আসলে মানসিকতায়। আবারও তিনি সেটা জানালেন, ‘খেলাটা তো মাথায়। আমরা কীভাবে এগোচ্ছি, লজিকের মধ্যে ক্রিকেট খেলছি কি না। এই জায়গার উন্নতি করা খুব সহজ কাজ নয়। স্কিল বা টেকনিক সবার জন্যই এক। সমস্যাটা আসলে মাথায়। এখানে উন্নতির জন্য অনেক ব্যাপার আছে।’

ক্রিকেটারদের দায়িত্ববোধ বাড়াতে কোচিংয়ের নতুন একটি পন্থা অবলম্বন করার কথাও বললেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘একজন আরেকজনকে কোচিং করানোর একটা পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। ফলে তারা নিজেরা ক্রিকেট নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। আমরা চেষ্টা করছি, সংস্কৃতিটা যেন একটু বদলায়। তাহলে তারা নিজেরাই শিখবে, দায়িত্ববান হবে এবং নিজেদের সমস্যা সমাধান করবে। এরকম হলে হয়তো আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।’