১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

“কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে ড. ইউনুসের আগমন: চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলন”

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত মে ১৩, ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ণ
“কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে ড. ইউনুসের আগমন: চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলন”

Manual7 Ad Code

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :

আজ ১৩ মে ২০২৫ (মঙ্গলবার) ঐতিহাসিক কালুরঘাট সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধনকে ঘিরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংগঠনের মহাসচিব ও সাংবাদিক লেখক মো: কামাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং একইসাথে সেতু নির্মাণ সুনিশ্চিত করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।

Manual2 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কালুরঘাট সেতু চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র প্রবেশদ্বার হিসেবে যুগ যুগ ধরে মানুষের ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই সেতুর আধুনিকায়নের দাবিতে প্রথম আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে এস. এম. জামাল উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, গণঅনশন, গোলটেবিল বৈঠক এবং একাধিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম ও অন্যান্য সংগঠন এই দাবিকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করে।

Manual5 Ad Code

মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, “বিগত সরকার আমাদের আন্দোলনকে সরকার বিরোধী বলে আখ্যা দিলেও আমরা থেমে থাকিনি। আমরা চট্টগ্রামের মানুষের পক্ষ থেকে বলেছি—এই সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক মুক্তির চাবিকাঠি।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী ১৪ মে ২০২৫ তারিখে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চট্টগ্রামে আসছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তাঁর আগমন শুধু একটি সেতুর সূচনা নয় বরং চট্টগ্রামের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়ার বার্তা বহন করে। আমরা তাঁকে জানাচ্ছি হৃদয় নিংড়ানো স্বাগত।”
প্রস্তাবনায় বলা হয়, ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত কালুরঘাট সেতু পদ্মা সেতুর তুলনায় অনেক ছোট, যা মাত্র ৮ ভাগেরও কম দৈর্ঘ্যের। পদ্মা সেতু যেখানে ৮ বছরে নির্মিত হয়েছে, সেখানে কালুরঘাট সেতু চাইলে ২০২৮ সালের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি তদারকি কামনা করে নাগরিক ফোরাম।

Manual5 Ad Code

সংগঠনটি হুঁশিয়ার করে দিয়ে জানায়—কোনো ধরনের কালক্ষেপণ বা অবহেলা হলে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম আবারো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গবেষক সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ দ্বীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কামরুল ইসলাম, লায়ন আসিফ আহমেদ মিদা, একে এম ওসমান গনি, মাষ্টার আবুল হোসেন, সেলিম উল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ আকতার হোসেন নিজামী, লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, লায়ন সমীরণ বড়ুয়া ও মোহাম্মদ নুর প্রমুখ।

Manual7 Ad Code

সমাপ্তিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে চট্টগ্রামের সকল গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এই জাতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিক এবং ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন সেতুর উদ্বোধনের আনন্দে অংশগ্রহণ করুক।