১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

৫’ই অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত, ধর্ষিত নয় মার্মা মেয়ে (তিন সদস্যের) মেডিকেল রিপোর্ট।

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ণ
৫’ই অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত, ধর্ষিত নয় মার্মা মেয়ে (তিন সদস্যের) মেডিকেল রিপোর্ট।

Manual2 Ad Code

ডেস্ক রিপোর্ট-খাগড়াছড়ি

যে মার্মা মেয়ের ধর্ষণের খবরে রক্তাক্ত খাগড়াছড়ি, তিন সদস্যের মেডিকেল টিমের রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে ফাইনাল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এবং জুম্ম ছাত্র পরিষদের ৮’টি দাবীদাওয়া মানার শর্তে, আগামী ৫’ই অক্টোবর ২৫’ইং তিন পার্বত্য জেলার অনির্দিষ্টকালের অবরোধ স্থগিত জুম্মা ছাত্র জনতার নেতৃবৃন্দ।

গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ডা: জয়া চাকমার নেত্রীত্বে তিন সদস্যের টিম, মার্মা মেয়ের ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গীননালায় গত ২৩’শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৮’ম শ্রেণীর এক মার্মা মেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষিত হয়েছে।

Manual2 Ad Code

এমন খবরে গত ২৪’শে সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১১’টার সময় জুম্ম ছাত্র পরিষদের ব্যাপারে পাহাড় থেকে সেনা হটাও এবং সেটেলার বাঙ্গলী হটাও বলে ও ধর্ষণের (বাঙ্গালী সেটেলারের) উপর দায় চাপিয়ে এমন শ্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করে তারা।

Manual5 Ad Code

পরের দিন অর্ধদিবস অবরোধ ও নিজ ইচ্ছায় জামেলায় জরানোর বাঙ্গালী সহ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি-মুলক শ্লোগান দিয়ে জামেলা করতে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে।

Manual1 Ad Code

পরের দিন সকাল সন্ধ্যার সড়ক অবরোধ ও সদর উপজেলা সহ পৌর এলাকায় অকাল্পনিক ভাবে (বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে সীমাহীন ) উস্কানির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে। বিভিন্ন দিক থেকে এলোপাথারি হামলা সহ একে ৪৭’রাইল নিয়ে জনসমুক্ষে ( ৮-১০) উপজাতি প্রকাশ্যে গুলি এবং গাড়ি ভাংচুর, মসজিদ ভাংচুর এবং সেনা সদস্য থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের উপর হামলা ইত্যাদি করেও যখন দাঙ্গা বাজানোর কিছু থেকে কিছু হচ্ছে না।

Manual7 Ad Code

তখন শহরের প্রাণকেন্দ্র আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে থেকে শুরু করে মহাজন পাড়া পর্যন্ত গুলাগুলির এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪’ধারা জারি করে জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি। পরের দিন পূর্ব পরিকল্পিত খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাঙ্গালীদের বসত ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাজারের দোকান সহ সামনে যে গাড়ি পেয়েছে। তাই জ্বালাও পুরাও ও ভাংচুর করেছে তারা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী তাদেরকে বুঝিয়ে থামানোর জন্য আসলে রডের টুকরো গুল্টি দিয়ে, ১২’জন সেনাবাহিনী আহত হয়।

এর পর সেনা সদস্যরা ক্ষনিকের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গেলে। মাঝখানে ঐ ফাকা সময়টাতে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা ইউপিডিএফ সদস্যরা সেনাবাহিনী যে স্থানে ছিলো, সেখানেই আইডিয়া করে এলোপাথারি গুলিতে তাদেরই তিন উপজাতি মারা যায় সহ অনেকেই আহত হয়। কিন্তু সেনাবাহিনী যে চলে গেছে এবং ঐ স্থানে তাদের আন্দোলন কারীরা রয়েছে।

সে বিষয় ইউপিডিএফ সদস্যরা তা জানতো না, তাই আন্দোলন কারীরা আহত সহ নিহত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। সিঙ্গীনালায় যে মার্মা মেয়ের জন্য অগ্নিকান্ড সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় যে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে তার বিচারের ব্যবস্থা করার জরুরী হয়ে পরেছে। নয়তো এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে এমন দাবী সিঙ্গীনালাবাসীর।

খাগড়াছড়ির শহরে দাঙ্গার রুপ নিয়েছে, এতো বাড়ি ঘর আগুন, গাড়ি ভাংচুর ও গাড়িতে আগুন, মানুষরা, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধন সহ পুরা জেলাকে একপ্রকার জিম্মি করে রাখা সহ প্রায় ৩২’জনের মতো, সেনা – পুলিশ ও বিজিবিকে আহত করা এগুলোর বিচার করার দাবী করছেন ক্ষতি গ্রস্থ সাধারন মানুষ। এধরণের বিচার এখন শুরু না করলে অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ প্রশাসনের।

এমন মিথ্যা নাটক করে অহেতুক আন্দোলনের নামে মানুষ মারা, প্রশাসনের লোকের উপর আক্রমণ, গাড়ি ভাংচুর অগ্ন সংযোগ করা, সাধারণ বাঙ্গলীদের বাড়িতে আগুন ও জানমালের ক্ষতি সাধন করার ইত্যাদি বিষয়ে মাথায় রেগে এবং ভবিষ্যৎ এমন মিথ্যা আন্দোলন থামাতে এর বিচার জরুরী হয়ে পরেছে বলে জানান এলাকার সাধারণ মানুষ।

খাগড়াছড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, অবরোধ স্থগিত জেলা শহরের ভিতরে আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এবং সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আপাতত শহর কেন্দ্রীক ১৪৪’ধারা এখন বলবৎ রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ আইন জারি থাকবে বলে জানা গেছে।