১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চুরি করতে গিয়ে এলাকাবাসির হাতে জামাই চোর আটক ও গনদোলাই।

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ণ
চুরি করতে গিয়ে এলাকাবাসির হাতে জামাই চোর আটক ও গনদোলাই।

Manual6 Ad Code

মোঃ ইকবাল মোরশেদ

Manual2 Ad Code

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা বসন্তপুর গ্রামে চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলো ওই এলাকার জামাই মোঃ জাকির হোসেন ও মোঃ মিজানুর রহমান নামে দুই চোর।

এলাকাবাসি তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। পরে আহত দুই চোরকে থানা হেফাজতে না নিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জনতার হাতে আটক চোরদেরকে শারীরিকভাবে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে থানায় না আনার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের বসতঘরে চুরি করতে ঢুকে জাকির হোসেন ও হানিফ নামের দুই চোর। এসময় গৃহকর্তা টের পেয়ে চোর জাকির হোসেনকে ধরে ফেলে। এসময় অপর চোর হানিফ পালিয়ে যায়।

আটক চোর জাকির হোসেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নে ইন্দ্রারচর গ্রামের বাসিন্দা। সে বসন্তপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকেন এবং সেখানে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র তৈরি করে। তার সহযোগী হানিফ বসন্তপুর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে।

Manual4 Ad Code

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় গরু চুরি, বসতঘরে চুরির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বসন্তপুর গ্রামবাসী। সোমবার মধ্য রাতে ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বসতঘরে চুরি করতে ঢুকে চোরচক্র। তাদেরকে আটক করে গণপিটুনি দিলে এলাকার প্রায় সব চুরির কথা স্বীকার করে তারা।

ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকাবাসী পুলিশের জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে চান্দিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের উপস্থিতি দেখে চোরেরা গুরুতর অসুস্থতার অভিনয় করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থলে ফেলে চলে আসে। চান্দিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, চোরদেরকে এলাকাবাসী পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। যে কারণে তাদেরকে থানায় না এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলি।

এ ছাড়া এলাকার জনপ্রনিধিরা বিষয়টি নিয়ে ২/১ দিনের মধ্যে বসে সমাধান করবে বলেও আশ্বাস দেন। গল্লাই ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আনিছুর রহমান মিন্টু জানান, বিষয়টি সমাধান করার বিষয়টি মূলত এলাকার অনেক মুরব্বিরাই বলেছে। তাদের চিকিৎসার পর সুস্থ হলে আমরা বিষয়টি সমাধান করব।

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ‘তারা কেউ সেটা অভিযোগ করতেছে না, তারা নিজেরা নিজেরা আপস মিমাংসা করে ফেলছে। সেজন্য পুলিশ গুরুতর অবস্থায় কাউকে নিয়ে আসেনি। যাদের ঘরে চুরি হইছে তারা কোনো মামলা করবে না।

অভিযোগও দেয়নি এমনকি থানা পর্যন্তও আসেনি চোরকে থানা হেফাজতে না নিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জনতার হাতে আটক চোরদেরকে শারীরিকভাবে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে থানায় না আনার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

Manual4 Ad Code

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের বসতঘরে চুরি করতে ঢুকে জাকির হোসেন ও হানিফ নামের দুই চোর। এসময় গৃহকর্তা টের পেয়ে চোর জাকির হোসেনকে ধরে ফেলে।

Manual2 Ad Code

এসময় অপর চোর হানিফ পালিয়ে যায়। আটক চোর জাকির হোসেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নে ইন্দ্রারচর গ্রামের বাসিন্দা। সে বসন্তপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকেন এবং সেখানে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র তৈরি করে। তার সহযোগী হানিফ বসন্তপুর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় গরু চুরি, বসতঘরে চুরির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বসন্তপুর গ্রামবাসী। সোমবার মধ্য রাতে ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের বসতঘরে চুরি করতে ঢুকে চোরচক্র। তাদেরকে আটক করে গণপিটুনি দিলে এলাকার প্রায় সব চুরির কথা স্বীকার করে তারা।

ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকাবাসী পুলিশের জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে চান্দিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে চোরেরা গুরুতর অসুস্থতার অভিনয় করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থলে ফেলে চলে আসে।

চান্দিনা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, চোরদেরকে এলাকাবাসী পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। যে কারণে তাদেরকে থানায় না এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলি। এ ছাড়া এলাকার জনপ্রনিধিরা বিষয়টি নিয়ে ২/১ দিনের মধ্যে বসে সমাধান করবে বলেও আশ্বাস দেন।

গল্লাই ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আনিছুর রহমান মিন্টু জানান, বিষয়টি সমাধান করার বিষয়টি মূলত এলাকার অনেক মুরব্বিরাই বলেছে। তাদের চিকিৎসার পর সুস্থ হলে আমরা বিষয়টি সমাধান করব।

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাবেদ উল ইসলাম জানান, ‘তারা কেউ সেটা অভিযোগ করতেছে না, তারা নিজেরা নিজেরা আপস মিমাংসা করে ফেলছে। সেজন্য পুলিশ গুরুতর অবস্থায় কাউকে নিয়ে আসেনি। যাদের ঘরে চুরি হইছে তারা কোনো মামলা করবে না। অভিযোগও দেয়নি এমনকি থানা পর্যন্তও আসেনি