মোঃ ইকবাল মোরশেদ, স্টাফ রিপোর্টার।
গত রবিবার রাতে (২১/০৯/২০২৫) কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার গৈয়ারভাঙ্গা এলাকার খয়রাতপুর (খরোতা) গ্রামের মোঃ আবদুল হামিদের মেয়ে প্রিয়া আক্তার তার স্বামীসহ ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তারা ভূশ্চি বাজারে পৌঁছান।
ভূশ্চি বাজার থেকে গৈয়ারভাঙ্গা বাজারে কোনো গাড়ি না পাওয়ায় প্রিয়া তার ফুফা ভূশ্চি পূর্বপাড়ার নুরু মিয়া অথবা ফুফাতো ভাই মাকসুদের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এসময় ভূশ্চি দক্ষিণপাড়ার মোঃ জলিলের ছেলে মোঃ মানিক ১৫০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে তাদের নিতে রাজি হয়। ড্রাইভার মানিক ভূশ্চি পূর্বপাড়ায় পৌঁছালে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা ভূশ্চি পশ্চিমপাড়ার মোঃ নজরুলের ছেলে মোঃ ফয়সাল এবং পূর্বপাড়ার হাজী বাড়ির মোঃ সফিউল্লাহর ছেলে মোঃ ইয়াছিন তাদের আটক করে প্রিয়ার স্বামীর গলায় অস্ত্র ধরে তাকে ভূশ্চি পশ্চিমপাড়া কেরাতুল কুরআন মাদ্রাসার পূর্ব পাশের একটি বাগানে বেঁধে ফেলে। এরপর মানিক, ফয়সাল ও ইয়াছিন মিলে প্রিয়াকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে বিষয়টি প্রকাশ হলে বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক এবং ভূশ্চি ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন ঘটনাটি মীমাংসার নামে তিন ধর্ষকের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এর মধ্যে ভুক্তভোগীকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।
একইসঙ্গে প্রিয়া ও তার স্বামীকে হুমকি দিয়ে ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য করেন। ভূশ্চি গ্রামের সবাই এ গণধর্ষণের খবর জানলেও দুঃখজনকভাবে কেউ প্রতিবাদ জানায়নি।