১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু মোঃ  মুক্তাদির হোসেন।

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ণ
কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু মোঃ  মুক্তাদির হোসেন।

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার।

Manual5 Ad Code

কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় একটি সিন্ধি জাতের ষাড় গরু মারা গেছে। গরুটির বাজার মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছেন মালিক।

ঘটনাটি মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাঙ্গাল হাওলা গ্রামের আঃ মোমেনের বাড়িতে ঘটেছে।

Manual8 Ad Code

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাঙ্গাল গ্রামের আঃ মোমেনের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি সিন্ধি জাতের ষাড় গরু অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। গরুর চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ পৌরসভার চৌড়া গ্রামের এআই টেকনিশিয়ান (কৃত্রিম প্রজনন) ও গ্রাম্য চিকিৎসক কাজী মো. আল আমিন এর কাছে গেলে তিনি আঃ মোমেনের গরুটিকে চিকিৎসা দেন।

তিনি চিকিৎসার নামে গরুটিকে কয়েকটি ভুল ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। পরের দিন মঙ্গলবার তিনি একই ভাবে পূনরায় ৪টি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গরুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং ইনজেকশন প্রয়োগের এক ঘন্টা পর গরুটি মারা যায়।

Manual8 Ad Code

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থাণীয় খামারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা এ ধরনের অপচিকিৎসা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গরুটির মালিক আঃ মোমেন বলেন, প্রায় দুই বছর আগে খুব কষ্টে এই সিন্ধি জাতের ষাড় গরুটি কিনে ছিলাম। গরুটির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কালীগঞ্জ পৌরসভার চৌড়া গ্রামের এআই টেকনিশিয়ান (কৃত্রিম প্রজনন) ও গ্রাম্য চিকিৎসক কাজী মো. আল আমিন এর ভূল চিকিৎসায় আমার গরুর মৃত্যু হয়েছে।

Manual4 Ad Code

অভিযুক্ত মোঃ আল আমিন বলেন, আমি গরুর ডাক্তার। ষাড়টির চিকিৎসার আগে আমি ফোনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্যারের সাথে পরামর্শ করেছিলাম।

কালীগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, কাজী আল আমিন গরুর কৃত্রিম প্রজননের জন্য এআই টেকনিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তবে তিনি পশুর চিকিৎসা করতে পারেন না। আমার কাছ থেকে অনেকেই পরামর্শ নিয়ে থাকেন। ওই দিন কাজী আল আমিন ফোন করেছিল কিনা মনে করতে পারছি না। তবে ক্ষতিগ্রস্থ খামারী অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।