১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির সুমাইয়ার ভিডিও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ছাত্রী সুমাইয়ার সংবাদ সম্মেলন

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ
নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির সুমাইয়ার ভিডিও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ছাত্রী সুমাইয়ার সংবাদ সম্মেলন

Manual4 Ad Code

রাজ রোস্তম আলী, স্টাফ রিপোর্টার

নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার ভিডিও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের ১৮ ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় স্থানী একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১৮ ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া।

তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১৮ ব্যাচের আইন বিভাগের ছাত্রী, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গোটা দেশবাসিকে জানাতে যাচ্ছি, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার এবং নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর স্যারের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অপপ্রচার চালিয়ে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Manual6 Ad Code

আমি এ ধরনের অসত্য, বিকৃত ও ষড়যন্ত্রমূলক ভিডিওর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে প্রায় দেড় বছর আগে আনিস, শুভসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভিডিও ধারণ করে। তারা পুরো ভিডিও না প্রকাশ করে কপিকাট করে ভিডিওটিকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করে আমাদের মানহানি করার চেষ্টা করছে।

এতে করে এলাকাবাসি ও আমার বন্ধু বান্ধবের সামনে আমার মুখ দেখাতে পারছিনা। আমাকে সাংবাদিক পরিচয়ে আমার মুঠো ফোনে অনেকেই ফোন দিচ্ছে। যার কারনে আমার পরিবারে নেমে এসেছে অশান্তি। আমি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের শেয়ারহোল্ডার। আমার প্রক্টর স্যারের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তারা আমার প্রতিষ্ঠানের শরনাপন্ন হন।

ডাক্তার দেখানো শেষে, স্যারের পরিবারের সাথে আমার পূর্ব পরিচিতি ও সুসম্পর্কের কারণে আমি তাদের সাথেই বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় আনিস ও শুভদের সাথে আমার ব্যক্তিগত দ্বন্দ থাকায় তারা আমাকে অনুসরণ করে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন ঘটনা ঘটায়। একটি সিংক্রেট করে আমার সম্মানহানি করার অপচেষ্টা করা হয়। অথচ এখানে পরকীয়ার কোনো সত্যতা নেই।

Manual4 Ad Code

কারন আনিস বিবাহিত ও ১ বাচ্চার বাবা বরং ঘটনাটিকে বিকৃতভাবে পরকীয়া বলে চালিয়ে আমার ও প্রক্টর স্যারের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া, স্যারের বাসায় আমাকে রাখার প্রসঙ্গ উঠেছিল কারণ ওই সময় আনিস সহ ওর সহকর্মীরা আমাকে জোর করে তাদের সাথে নিয়ে যেতে চাইছিল, যা আমার জন্য নিরাপদ ছিল না।

Manual1 Ad Code

তাই আমি স্যারের পরিবারসহ সেখানে অবস্থান করি। অথচ এই প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং তা রাহাত নামের ছেলে করেছে। যাহার নেতৃত্বে দিয়েছেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিঠুন নামের এক ছেলে৷ আমি তা গোপন সূত্রে জানতে পারি এবং তার সত্যতাও আছে আমার কাছে।

শুধু আমি নয় আমি ব্যতিত আরো দুইটি মেয়ের ছবি নিয়ে রাহাত এই সব নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপে ছাড়ে। রাহাত মূলত নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র।

Manual5 Ad Code

আমি এবং আমার স্যারের বিরুদ্ধে ছড়ানো এই অপপ্রচার নিছক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি করেন শিক্ষার্থী সুমাইয়া।