১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পলাশবাড়িতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখলের চেষ্টা, হুমকি প্রদান

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ
পলাশবাড়িতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখলের চেষ্টা, হুমকি প্রদান

Manual8 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার ৭নম্বর ইউনিয়ন পবনাপুর এফ.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার জোর করে দখলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার বিরুদ্ধে।

তিনি বিদ্যালয়ে বহিরাগত লোক নিয়ে এসে দায়িত্ব ছাড়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম সরকারকে চাপ সৃষ্টি ও হুমকি দিয়েছেন। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম সরকার।

লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম সরকার বলেন ২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করে।

Manual2 Ad Code

তিনি ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন আবু দাউদ মো. খালেক। এরমধ্যে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এক ভুয়া বানোয়াট নিয়োগ বোর্ড গঠন করেন।

ওই বোর্ডের মাধ্যমে আটজন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খন্দকার আবু দাউদ মো. খালেককে প্রধান শিক্ষক কমল চন্দ্র বর্মণকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হাইকোর্টে ও মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ভুয়া, বানোয়াট কাগজপত্র নিয়ে নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করেন।

Manual5 Ad Code

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খন্দকার আবু দাউদ মো. খালেক অবসরে যাওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটি বিধিমতো বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করে মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে। কিন্তু তিনি ২০২৪ সালের ১৫ মে পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবান করে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এরপর ১৬ মে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সরদার মো. শাহীন মিয়া।

তিনি গত ১১ ফেব্রæয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানান যে, ১৩ ফেব্রæয়ারি কমল চন্দ্র বর্মন সাময়িক বরখাস্ত থাকায় এবং তৎপরবর্তী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম মন্ডল দায়িত্ব গ্রহণে অনিচ্ছুক হওয়ায় তৎপরবর্তী শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম সরকারকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

Manual6 Ad Code

নজরুল ইসলাম সরকার কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়া সহকারী শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (মৌলভী শিক্ষক) পুনরায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ নেয়ার জন্য কমিটিকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা করছেন।

এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি তাঁর বাড়ির এলাকা বরিশাল ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি শামীম, সহযোগী ইউসুফ, গোপিনাথপুরের জামায়াত সমর্থক সবুজ, ময়মন্তপুরের বিএনপি সমর্থক শিপন, পবনাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সাইফুল, পবনাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মিজানসহ বহিরাগত লোক দিয়ে নজরুল ইসলাম সরকারকে দায়িত্ব পালনে বাঁধার সৃষ্টি করছেন।

এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে গত ২৪ আগস্ট রোববার সকাল ১১টার দিকে বহিরাগত লোকজন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ২৭ আগস্ট বুধবারের মধ্যে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার জন্য নজরুল ইসলামকে হুমকি দেয়, অন্যথায় তাকে দেখে নেয়া হবে বলে শাসিয়ে চলে যায়। এমতাবস্থায় তিনি এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

Manual5 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস মিয়া সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।