১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

Manual7 Ad Code

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালী ইউনিয়নের রিফাইতপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

Manual2 Ad Code

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষক ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসেন। আবার বিকাল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ক্লাস চলার নিয়ম থাকলেও শিক্ষকরা বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটের আগেই ছুটি দিয়ে দেন।

Manual7 Ad Code

এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের স্লিপ বিক্রির অর্থ নিজের তৈরি ভাউচারের মাধ্যমে অফিসে জমা দিলেও সেই টাকায় কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয় না। তিনি নিজের স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন এবং চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Manual5 Ad Code

এছাড়া ২০০৬ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় তিনি এডহক কমিটিতে নিজের পছন্দমতো সদস্য নিয়োগ দেন। প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন স্কুলের মূল জায়গাটি তার মা আলিববি বেগম দান করেছেন বলে দাবি করলেও বাস্তবে জমিটির মালিক ইছিতন নেছা।

অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে জায়গাটি দখল করে স্কুল স্থাপন করা হয়। বাধা দিলে ইছিতন নেছাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, পরীক্ষার সময় ব্ল্যাকবোর্ডে উত্তর লিখে দেওয়া হয় যাতে সবাই বেশি নম্বর পায়। এ কাজ প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই করা হয়। এছাড়াও অভিযোগ আছে, তিনি বিভিন্ন কাজে বিদ্যালয় ত্যাগ করলেও ছুটি না নিয়েই পরদিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।

Manual8 Ad Code

এমনকি সহকারী শিক্ষকের স্বাক্ষরও নকল করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন একজন ভূমি দস্যু ও দুর্নীতিবাজ। তার অনিয়মে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসানের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।

অভিভাবকরা দ্রুত তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।