১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মেয়র আতিকের পালানো ভিডিওতে থাকার কথা স্বীকার করেছেন টঙ্গীর যুবদল নেতারা

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত আগস্ট ২২, ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ণ
মেয়র আতিকের পালানো ভিডিওতে থাকার কথা স্বীকার করেছেন টঙ্গীর যুবদল নেতারা

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার

Manual8 Ad Code

আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়েরের পোষ্ট করা ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের পালিয়ে যাওয়ার আগের ভিডিওতে নিজেদের থাকার কথা স্বীকার করেছেন টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন মন্ডল সহ ভিডিওতে থাকা অন্যরা।

Manual7 Ad Code

১৮ আগস্ট শায়ের তার ফেসবুকে এই ভিডিও পোস্ট করার পর টঙ্গীতে তোলপাড় পড়ে যায়।

জানা যায়, তার ফেইসবুক আইডি থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও পোস্ট করেন শায়ের। যেখানে তিনি লেখেন এনসিএমটির সাবেক মহাপরিচালক বরখাস্তকৃত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এর সংরক্ষিত সিডি ড্রাইভ উদ্ধার করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গত বছরের ১৮ আগষ্ট ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে যাওয়ার দৃশ্য। যেখানে মেয়র আতিকের সাথে ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি তাকে সহযোগিতা করছেন।

Manual1 Ad Code

এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম কফিল উদ্দিন,গাজীপুর জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও টঙ্গী থানা যুবূলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আজিজ প্রিন্স, টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সদস্য সচিব নাজমুল মন্ডল ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার যুবদল নেতা ফারুক খানকে দেখা যায়। তারা সকলে সাবেক মেয়র আতিকের সাথে তার অফিসের সামনে আলাপচারিতায় ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ওই ঘটনার সময় মেয়র আতিককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করছিল বলে ভিডিওতে দেখা যায়। পোস্টের কমেন্টে ও শেয়ারে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে । এখনো অনেকে স্কিন শট পোষ্ট করে ডাউনলোড করা ভিডিও ব্যাপকহারে প্রচার করছেন। এই পোস্টের নানা ধরনের কমেন্টে টঙ্গীর একাধিক যুবদল নেতার নাম চলে আসে। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবদলের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন মন্ডল ওই ভিডিওতে তার নিজের থাকার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আমরা কয়েকজন ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম

Manual4 Ad Code

বাংলাদেশ ক্লাব নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম কফিল উদ্দিন। ওই ক্লাবের সভাপতি মেয়র আতিকুল ইসলাম থাকার কারণে তার স্বাক্ষর আনতে আমরা তার কাছে যাই। স্বাক্ষর নিয়ে আমরা চলে আসার পর তিনি পালিয়েছেন কি না সেটা আমরা জানিনা। কফিল উদ্দিন ছাড়াও তার সাথে টঙ্গীর যুবদল নেতা রফিকুল আজিজ প্রিন্স ও আরেক যুবদল নেতা ফারুক খান ছিলেন বলে জানান নাজমুল হোসেন মন্ডল। কফিল ভাই নতুন করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় অনেকেই তার সুনাম ক্ষুন্ন করতে পুরনো ভিডিওটি নতুন করে ছাড়াচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে বৃহত্তর টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আজিজ প্রিন্স বলেন, আমরা গিয়েছিলাম বাংলাদেশ ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কফিল ভাইয়ের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়ে মেয়র আতিকুল ইসলামের স্বাক্ষর আনতে। আমরা চলে আসার তিন ঘন্টা পর সেখানে কি হয়েছে সেটা আমাদের জানার বিষয় নয়।

এ বিষয়ে জানতে কোনাবাড়ি এলাকার যুবদলের সাবেক নেতা ফারুক খানকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম কফিল উদ্দিন বাংলাদেশ ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ক্লাবের একটি চিঠির কপি দিয়ে বলেন, ৫ আগস্টের পর ক্লাব একটি চিঠি দিয়ে আমাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নিতে বলে। সেই চিঠির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি মেয়র আতিক সাহেবের অফিসে গিয়েছিলাম। তিনি আছেন জেনেই গিয়েছি ও তাকে পেয়েছি। কাজ শেষে চলে আসছি। তারপর সেখানে কি হয়েছে তা আমার জানার কথা নয়।