১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শহীদ আজাদ অকুতোভয় এক গেরিলা যোদ্ধার নাম।

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত আগস্ট ৩০, ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ণ
শহীদ আজাদ অকুতোভয় এক গেরিলা যোদ্ধার নাম।

Manual5 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি

Manual1 Ad Code

শহীদ আজাদ অকুতোভয় এক গেরিলা যোদ্ধার নাম। তাঁর পুরো নাম মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ যিনি শহীদ আজাদ নামেই সমধিক পরিচিত।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরের বিখ্যাত আরবান গেরিলা দল ক্র্যাক প্লাটুন এর সদস্য ছিলেন। জন্ম ১৯৪৬ সালের ১১ জুলাই। তাঁর পিতা তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের ধনাঢ্য ব্যবসায়ি ইউনুস আহমেদ চৌধুরী এবং মা মোসাম্মাৎ সাফিয়া বেগম। তি

নি ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। শৈশব কেটেছে নিউ ইস্কাটনের সুরম্য বাড়িতে। তবে পরবর্তীতে তাঁর পিতার দ্বতীয় বিবাহের কারণে তাঁর প্রতি ক্ষোভ নিয়ে মা সাফিয়া বেগম আজাদকে নিয়ে ফরাশগঞ্জের বাসায় চলে যান। আজাদ সবসময়ই ছিলেন স্বাধীনচেতা তরুণ। দুরন্ত, গানপাগল, সিনেমার পোকা আর বইপড়ুয়া হিসাবেই পরিচিত ছিলেন সবার কাছে।

Manual4 Ad Code

তবে পড়ালেখায় খুব বেশি মনোযোগী ছিলেন না। এসএসসিতে সেকেন্ড ডিভিশন নিয়ে পাস করেন। তারপরে পড়তে যান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই স্নাতক উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপরে ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ধনীর দুলাল হলেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন আজাদ। নাম লেখান কিংবদন্তিসম ক্র্যাক প্লাটুনে। বেশ কিছু সফল অভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

Manual2 Ad Code

এরপর ৩০ আগস্ট সহযোদ্ধাদের সাথে নিজ বাড়ি থেকে পাকি হানাদারদের হাতে ধরা পড়েন। মুক্তিবাহিনীর তথ্য নেওয়ার জন্য তাঁর উপরে চালানো হয় অমানুষিক অত্যাচার। সবকিছু সহ্য করে গেছেন কিন্তু মুখ খোলেননি। তাঁর মা যখন তাঁর সাথে বন্দি অবস্থায় দেখা করেন, তখন আজাদ ভাত খেতে চেয়েছিলেন।

পরবর্তীতে মা ভাত নিয়ে গিয়ে ছেলেকে আর পাননি। ছেলেকে ভাত খাওয়াতে না পারার কষ্টে আজাদের মা জীবনে আর ভাত খেতে পারেননি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চৌদ্দটি বছর। রূপকথার মতো এই বাস্তবতা নিয়ে পরবর্তীতে সাহিত্যিক আনিসুল হক রচনা করেন তাঁর উপন্যাস ‘মা’। শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Manual4 Ad Code