১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাও, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণ করার জোর দাবি

বাংলা বারুদ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৫:২৩ অপরাহ্ণ
সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাও, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণ করার জোর দাবি

Manual3 Ad Code

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ রোড ক্রাশে নিহত ও আহতদের জন্য বিশ্ব স্মরণ দিবস উদযাপন উপলক্ষে “সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাও, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবিতে” চট্টগ্রামে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ-চট্টগ্রাম ও ক্যাব চট্টগ্রামের উদোগে আজ ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রামে নগরীর জিইসি কনভেনশনের হলের সামনে অনুষ্টিত হয়।

পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি কলামিস্ট মুহাম্মদ মুসা খানের সভাপতিত্বে ও আইএসডিই এর কর্মসুচি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, নারী নেত্রী ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রোটারিয়ান এস এম আজিজ, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ‍উন্নয়ন কর্মী ইয়াছিন মঞ্জু, সুবজের যাত্রার নির্বাহী পরিচালক সায়েরা বেগম, প্রত্যয় সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এর নাজমুল ইসলাম, বাংলাবন্ধু যাত্রী কল্যান সংস্থার আকতার হোসেন রানা, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, সদস্য ফয়েজ আহমদ, করিমুল ইসলাম, মোঃ সালমান রশীদ অভি প্রমুখ। দিবসের ধারনা পত্র পাঠ করেন রাসেল উদ্দীন।

Manual3 Ad Code

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে সারাবিশ্বে প্রতি বছর রোড ক্র্যাশে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বেড়েই চলেছে, যা অসংখ্য মানুষের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শোক, ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্ভোগের কারণ। বিশ্ব স্মরণ দিবসে জরুরি সেবা কর্মী, পুলিশ এবং চিকিৎসা পেশাজীবীদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানায় যারা প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হন এবং এগুলি মোকাবেলায় সর্বাত্মক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা হ্রাস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজন উপযুক্ত শক্তিশালী নীতি ও আইনী কাঠামো দরকার। কিন্তু বর্তমানে দেশে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর আইনের অভাব রয়েছে। তাই জাতীয় ও বৈশ্বিক অঙ্গীকারের আলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সময়োপযোগী সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রোড ক্র্যাশের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। সে সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলসমূহের ইশতেহারে রোড সেফটি ইস্যুটি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

Manual6 Ad Code

বক্তাগন আরও বলেন, প্রতি বছর, ৫০ মিলিয়নেরও বেশি মৃত্যু ও শত শত মিলিয়ন আহতের তালিকায় আরও কয়েক মিলিয়ন রোড ক্র্যাশের শিকার ব্যক্তি যোগ হয়। এটি একটি প্রকৃত মহামারী, যা মূলত আমাদের দুর্বল জনগোষ্ঠী এবং তরুণদের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি আহত বা পঙ্গু হওয়া ব্যক্তির দুর্বিসহ জীবন এবং মৃত ব্যক্তিদের শোকের ট্রমার পাশাপাশি দেশ, সম্প্রদায় এবং পরিবারগুলোর জন্য একটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক প্রভাবও সৃষ্টি করে। তাই, ২০২১-২০৩০ সালের কর্মদশক চলাকালীন, বিশ্ব দিবসটির ৫০% সড়ক দুর্ঘটনার হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

উল্লেখ্য, “রোড ক্র্যাশে হতাহতদের জন্য স্মরণ দিবস” প্রতি বছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার পালিত হয়। সে হিসাবে এ বছরও পালিত হয়েছে। এ বছর বিশ্ব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণ দিবসের প্রতিপাদ্য হল “মনে রেখো, সমর্থন করো, কাজ করো” (ইংরেজিতে Remember, Support, Act)। এ প্রতিপাদ্য সড়ক দুর্ঘটনার শিকারদের স্মরণ, শোকাহত পরিবার এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সহায়তা এবং বিশ্বব্যাপী সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ইভেন্ট, যেখানে রোড ক্র্যাশে নিহত এবং গুরুতর আহত লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্মরণ করা হয় এবং এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের ভোগান্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

Manual8 Ad Code